হয় জেল, না হয় এনকাউন্টার অপরাধজগতকে যোগীর হুঙ্কার দেখুন..
হয় জেল, না হয় এনকাউন্টার। রাজ্যের অপরাধ দমনে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।দিন দিন উত্তরপ্রদেশ অপরাধীদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হয়ে উঠেছিল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও অভিযোগ বহু বছর ধরে। ক্ষমতায় আসার পরই আদিত্যনাথ আইন শৃঙ্খলাকে শুধরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। শুক্রবার গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দানে গিয়ে তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, রাজ্যে দুষ্কৃতীরাজ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। বলেন, “অপরাধীদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলব। ওদের জন্য দুটো জায়গা, হয় জেলে যাবে, না হয় পুলিশের এনকাউন্টারে যমের বাযোগী যখন দুষ্কৃতীদের রাজ্য থেকে সাফ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময়েই মেরঠে বজরঙ্গ দলের সদস্যরা পুলিশ স্টেশনে ঢুকে ভাঙচুর চালাচ্ছিল। মারধর করে পুলিশকর্মীদেরও। দু’দিন আগেই গৌতম বুদ্ধ নগরে এক বিজেপি কর্মী ও তাঁর দুই সঙ্গীকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করে।বিরোধীরা ইতিমধ্যেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যোগীর দাবিকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। তাদের পাল্টা প্রতিক্রিয়া, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যদি নিয়ন্ত্রণেই থাকত, তা হলে যোগী ক্ষমতায় আসার পরেও কেন রাজ্যে একের পর এক খুন, ধর্ষণ এবং গোরক্ষকদের তাণ্ডবের মতো ঘটনা ঘটছে?ড়ি যাবে।পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ২০১৭-র মার্চের আগে পর্যন্ত অপরাধীদের তাণ্ডবে শিল্পপতি, ব্যবসায়ীরা রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যেত। ভয়ে কেউ রাজ্যে লগ্নির আগ্রহও দেখাতেন না। কিন্তু এখন রাজ্য প্রশাসন অনেক কঠোর। লগ্নিও হচ্ছে। ওই দিন তিনি অবৈধ কষাইখানার প্রসঙ্গও তোলেন। এ ধরনের কষাইখানা বন্ধ করা সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলেও দাবি করেন যোগী।
Comments
Post a Comment